Job Preparation For Diploma in Mechanical Engineering Students

★মেকানিক্যাল জব প্রিপারেশন★ ★লেখাটা একটু বড় তাই সময় এবং ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। ★শুরুতেই কিছু কথা--> আমি অতি অভিজ্ঞ কেউ নই। আমি জাস্ট এখানে নিজে কিভাবে পড়েছি সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আশা করি যারা নতুন জব প্রিপারেশন নিচ্ছেন বা অনেকদিন ধরে পড়ছেন তবে কোথা থেকে কি পড়বেন সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না তাদের কিঞ্চিত পরিমাণ হলেও উপকারে আসবে লেখাটা। ★ডিপার্টমেন্ট অংশ,,,,, #ম্যাথ--> জালাল শিকদার বা অপটিমাম যে কোন একটা বই ভালোভাবে শেষ করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে খুব বড় ম্যাথ আসেনা, তবে শেখার সময় বড় ম্যাথ প্র্যাকটিস করা ভালো; তাতে কনফিডেন্স বাড়ে। যে কোন একটা বই ভালোভাবে শেষ করার পর প্রাইম জব সলুশন বইটা সমাধান করতে হবে (আমার কাছে এটাই বাজারের সেরা বই মনে হয়েছে)। জব সলিউশনে সব পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়া যায় না এক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রুপে নিয়মিত চোখ রাখতে হবে এবং গ্রুপ থেকে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন কালেকশন করে সেগুলো সমাধান করতে হবে। ম্যাথের জন্য আমার কাছে এগুলোই যথেষ্ট মনে হয়েছে তবে কেউ যদি আরো ভালো প্রিপারেশন নিতে চান তাহলে, ইমরান হোসেনের লেখা Fundamental of Mechanical Engineering বই থেকে নিজের ইচ্ছামত ছোট ছোট ম্যাথ করতে পারেন (আমি করিনি)। #থিওরি--> জালাল শিকদার বা অপটিমাম বই পড়তে হবে এবং এর সাথে জব সলিউশন অবশ্যই পড়তে হবে। তবে থিওরির জন্য মূল বইয়ের বিকল্প কোন কিছুই হতে পারে না। আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন ঢাকা পলিটেকনিকে মূল বই থেকে হুবহু প্রশ্ন করে। তাই ডিপার্টমেন্টের মূল বইয়ের অতিসংক্ষিপ্ত ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (বোর্ডে এসেছে এমন) এবং ছোট ছোট সকল প্রমাণ খাতায় নোট করে পড়তে পারলে সব থেকে ভালো। আমি এ ক্ষেত্রে নিচের বইগুলো পড়তাম,,, $মেশিন শপ প্র্যাকটিস ১,২,৩ $টুল ডিজাইন $ফাউন্ড্রি এন্ড প্যাটার্ন মেকিং $অ্যাডভান্সড ওয়েল্ডিং $মেটালার্জি $মেট্রলজি $হিট ট্রিটমেন্ট অফ মেটালস $ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস $প্রোডাকশন প্ল্যানিং এন্ড কন্ট্রোল $প্লান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড মেইনটেনেন্স $অ্যাপ্লাইড মেকানিক্স ১,২ $স্ট্রেংথ অফ ম্যাটেরিয়ালস $হাইড্রোলিক্স $থার্মোডাইনামিক্স $মেশিন ডিজাইন। #ডায়াগ্রাম--> জালাল শিকদার বা অপটিমাম এর ডায়াগ্রাম; জব সলিউশন এর ডায়াগ্রাম এবং ড্রয়িং; Fundamental of Mechanical Engineering বইয়ের Job question solution পার্টের ডায়াগ্রাম এবং ড্রইং। #MCQ--> অপটিমাম MCQ গাইড। ★নন ডিপার্টমেন্ট অংশ,,,,, @বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রশ্ন ব্যাংক ব্যাখ্যাসহ পড়তে হবে। #বাংলা_সাহিত্য--> ডাইজেস্ট থেকে। #বাংলা_ব্যাকরন--> নবম দশম শ্রেণীর বোর্ড বই। এর সাথে ডাইজেস্ট থেকে মুখস্থ টপিকসগুলো (বানান শুদ্ধি, এক কথায় প্রকাশ, বিপরীত শব্দ, সমার্থক শব্দ, বাগধারা ইত্যাদি)। আমি নবম দশম শ্রেণীর বোর্ড বই এর পরিবর্তে প্রদীপ বাংলা ব্যাকরণ বইটা পড়তাম। আপনারা কোনটা পড়বেন সেটা আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা (যেকোনো একটা পড়লেই হয়)। মুখস্ত টপিকস গুলোতে কেউ আরো ভালো প্রিপারেশন নিতে চাইলে জর্জ mp3 সিরিজের বই থেকে এগুলো পড়তে পারেন (আমি পড়িনি)। #ইংরেজি--> English for Competitive Exam বইটা পড়তে হবে। এই বইতে শুধু প্রশ্ন আর উত্তর দেয়া থাকে তেমন কোনো Grammatical Rules দেয়া থাকে না। তাই বুঝে পড়তে চাইলে এর পাশাপাশি যেকোনো একটা ভালো Grammar বইয়ের সাহায্য নিতে হবে। #বাংলাদেশ_বিষয়াবলি--> ডাইজেস্ট থেকে পড়তে হবে। তবে সাধারণ জ্ঞানের মধ্যে এই বিষয়টা আমাদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তাই কেউ যদি এই বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রস্ততি নিতে চান তাহলে জর্জ mp3 সাধারণ জ্ঞান প্রথম খন্ড বইটি পড়তে পারেন (আমি পড়িনি)। #আন্তর্জাতিক_বিষয়াবলি--> ডাইজেস্ট থেকে। #ভূগোল--> ডাইজেস্ট থেকে। #কম্পিউটার--> ডাইজেস্ট থেকে। #সাধারণ_বিজ্ঞান--> ডাইজেস্ট থেকে। #সাধারণ_গণিত--> গণিতের বেসিক ভালো থাকলে ডাইজেস্ট এবং বিসিএস প্রশ্ন ব্যাংক সমাধান করলেই ভালো একটা প্রিপারেশন হয়ে যায়। তবে কেউ আরো ভালোভাবে প্রিপারেশন নিতে চাইলে আলাদা কোন বই পড়তে পারেন (আমি পড়িনি)।
★পাওয়ার সেক্টর--> এর জন্য মূলত ফেসবুক গ্রুপগুলোই একমাত্র ভরসা। বিভিন্ন গ্রুপ থেকে পিডিএফ শীট বা প্রশ্ন সংগ্রহ করে পড়তে হবে। তবে যারা ডুয়েটের আশেপাশে থাকেন তারা দোকান থেকেই এসব শীট কিনতে পারবেন। ★সাম্প্রতিক তথ্য--> সাম্প্রতিক এর জন্য বেশি সময় নষ্ট করা আমার কাছে বোকামি মনে হয়েছে। এর জন্য প্রতি মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সংগ্রহে রাখবেন, কোন পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে বিগত তিন/চার মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর প্রথমদিকে দেয়া প্রশ্নগুলো পড়ে যাবেন (আমি এভাবেই পড়তাম)। ★আমাদের কিছু সমস্যা--> আমরা ডিপ্লোমা পাস করে জব প্রিপারেশন নিলেও আমাদের বেশিরভাগেরই ডিপ্লোমা সিলেবাস সম্পর্কে ধারনা থাকে না। এর জন্য মূলত দায়ী আমাদের ডুয়েট এডমিশন গাইড এর উপর নির্ভরশীলতা। ডুয়েট এডমিশনে নির্দিষ্ট একটা সিলেবাস এর উপর পরীক্ষা হয় তাই গাইডগুলো সেই সিলেবাস অনুসারে সাজানো থাকে। চাকরির পরীক্ষায় এই গাইডের বাইরে থেকে প্রশ্ন হলেই আমরা বলে বসি, সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন হয়েছে। আসলে ডিপ্লোমার বই গুলো ভালোভাবে ঘাটলে দেখবেন আমাদের ডিপ্লোমা সিলেবাসের মধ্যে থেকেই প্রায় সবসময় প্রশ্ন হয় (হঠাৎ দু-একটা আলাদা কেস থাকে)। সেই ডিপ্লোমার শুরু থেকে আমরা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পড়তে পড়তে নিজেদের সিলেবাস টাই জেনে উঠতে পারিনি। এটা অবশ্য পুরোপুরি আমাদের দোষ নয়, কারণ কারিগরি বোর্ডের সিস্টেমটাই এমন। ★বিঃ দ্রঃ- এখানে বিপিএসসি এর প্রিপারেশন নিয়ে কথা বলা হয়নি কারণ আমি নিজে বিপিএসসি এর কোন পরীক্ষা দেইনি। তবে এভাবে পড়লে ইনশাআল্লাহ প্রিলিতে টিকবেন আশা করি। ★পরিশেষে বলি,,, ছোট মানুষ হিসেবে অনেক কিছুই বলে ফেললাম। ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। মোঃ আনিছুর রহমান কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সেশনঃ- ২০১৫-১৬; ব্যাচঃ- ২০১৯ উপ-সহকারী প্রকৌশলী (NWPGCL)

Post a Comment

0 Comments

Search This Blog